দখিনের খবর ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হবে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। এ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান এবং দেশব্যাপী জেলা-উপজেলায় ব্যাপক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। শনিবার (৬ মার্চ) সকালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব বদরুল আরেফীন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী প্রমুখ। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রেক্ষাপটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের তাৎপর্য অনেক গভীর। দিনটিকে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস হিসেবে ঘোষণা এবং দিবসটিকে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত হিসেবে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। এ আয়োজন উদযাপনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সংযুক্ত করা হয়েছে। এদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে। কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৭ মার্চ বিকেল ৩টায় আয়োজন করা হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চ্যুয়ালি উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কেন্দ্রীয় আয়োজনে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীন। অনুষ্ঠান স্থলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনধিক পাঁচশ’ অতিথির আসন গ্রহণের ব্যবস্থা রাখা হবে এবং অন্য অতিথিরা অনলাইনে উপভোগ করবেন। প্রতিমন্ত্রী জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে কর্মসূচি নেবে। ঢাকাসহ সব জেলা ও উপজেলায় জেলা প্রশাসন ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির মাধ্যমে নানা আয়োজন হবে। এ আয়োজনের ব্যয় নির্বাহের জন্য ২০২০-২১ অর্থবছরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে জেলা পার্যায়ে এক লাখ টাকা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫০ হাজার টাকা হারে সর্বমোট ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা ইতোমধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে জাতীয় কর্মসূচির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে কর্মসূচি ও অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। জাতীয় অনুষ্ঠানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সব সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদসমূহে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ জাতীয় দিবস উদযাপন করা হবে। দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় আলাদা আলাদা কর্মসূচি নেবে। সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ভাবাদর্শে ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক ভাবধারায় সুখী-সমৃদ্ধ, ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার এখনই সময়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও ৭ মার্চের ভাষণের সুবর্ণজয়ন্তীতে এটাই আমাদের দৃঢ় প্রত্যয় ও অঙ্গিকার। ’
Leave a Reply